,

হবিগঞ্জে সতিনকে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন গৃহবধূ :: কারাদন্ড

স্টাফ রিপোর্টার : হবিগঞ্জ শহরের মোহনপুর এলাকার মীর সাজিদা আক্তার নামের এক গৃহবধূ তার সতিন জাহানারা বেগমকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেছেন। মিথ্যা মামলা দায়েরের অপরাধে মীর সাজিদা আক্তারকে (৩০) সাত দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন এই দণ্ডাদেশ প্রদান করেন। মীর সাজিদা আক্তার ও জাহানারা বেগম মোহনপুর এলাকার আব্দুর রহমানের স্ত্রী।
আদালত সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জ শহরের মোহনপুর এলাকার আব্দুর রহমান জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দপ্তর সিলেটের অফিস সহায়ক। তার প্রথম স্ত্রী জাহানার বেগমের তিন কন্যাসন্তানই এমবিবিএস ডাক্তার। পারিবারিক কলহে জাহানারার সাথে আব্দুর রহমানের মামলা-মোকদ্দমা চললে তাকে তালাক দিয়ে মীর সাজিদা আক্তারকে বিয়ে করেন আব্দুর রহমান। সেখানে তার এক ছেলেসন্তান জন্ম নেয়।
পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে মীর সাজিদা আক্তার জাহানারা বেগম ও তার ডাক্তার মেয়ে এবং মেয়ের জামাইসহ পাঁচজনকে আসামি করে ২০২২ সালের ২৯ আগস্ট মামলা দায়ের করেন। মামলায় মীর সাজিদা আক্তার ও আব্দুর রহমান ছাড়া আর কেউ সাক্ষ্য দেয়নি। সাক্ষ্যতে মামলার ঘটনা মিথ্যা প্রমাণিত হলে গত ২৬ সেপ্টেম্বর রায়ে জাহানারা বেগমকে খালাস প্রদান করা হয় এবং মিথ্যা মামলা দায়েরের জন্য ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫০ ধারায় কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার জন্য কারণ দর্শাতে বাদিনী মীর সাজিদা আক্তারকে আদেশ প্রদান করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার মীর সাজিদা আক্তার আদালতে হাজির হয়ে লিখিত বক্তব্যে ক্ষমা চাইলেও আদালতের ও তদন্তে মূল্যবান সময় নষ্ট করায় তাকে সাত দিনের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ প্রদান করেন।
পরে মীর সাজিদা আক্তারের আইনজীবী আপিল দায়েরের শর্তে জামিন চাইলে বিজ্ঞ আদালত জামিন মঞ্জুর করেন। আদালত পরিদর্শক কামরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর